ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

উন্নয়ন কাজে ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চকরিয়ায় হবে উপশহর,

মাতামুহুরীর তরছঘাট পয়েন্টে নতুন সেতু ও আধুনিকমানের শিশুপার্ক একনেক সভায়

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

রোববার ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) সভায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার নতুন উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাইকার প্রস্তাবিত ৬২০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের অর্থবরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। তিনি চকরিয়া পৌরবাসির ভাগ্য উন্নয়নে নতুন করে ৬২০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ায় চকরিয়া পৌরসভার লক্ষাধিক জনগণের পক্ষথেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার টিকেটে দ্বিতীয়বার চকরিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হবার দেড়বছরের মাথায় এবার তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চকরিয়ার ইতিহাসে পৌরসভার উন্নয়নকাজের জন্য  স্বরণকালের রেকর্ড উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছেন।

অবশ্য আলমগীর চৌধুরী ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের গেল পাঁচ বছরে জাইকার প্রস্তাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ছোট-বড় ও মেগাউন্নয়ন প্রকল্প মিলিয়ে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে দুইশতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছেন।

রোববার রাজধানী ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে চকরিয়া পৌরসভার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন ঘিরে পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা কর্মচারী সবার মাঝে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এছাড়া অতি সহসা বিশাল বাজেটের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হবে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়, এই খবরে এখন পৌরবাসির মাঝেও খুশির আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অন্যদিকে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে চকরিয়া পৌরসভার ৯ টি ওর্যাডে কী কী উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হবে তার প্রস্তুতিমুলক রূপরেখাও তুলে ধরেছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

অর্থবরাদ্দ হওয়া উন্নয়নকাজের রূপরেখা তুলে ধরে মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, জাইকার প্রস্তাবিত ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে অনুমোদিত  উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে আছে

(১) চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে উপ-শহর গড়ে তুলার জন্য আবাসন প্রকল্প। (২) চকরিয়া পৌরবাসির বিনোদনের জন্য চকরিয়া পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্ক। (৩) চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে মাতামুহুরী নদীর উপর  তরছঘাট সেতু,  (৪) চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে ফুলতলা মসজিদ থেকে সাবেক ছাত্রনেতা হায়দার আলীর বাড়ি হয়ে রুহুল মিয়া কাচারি পর্যন্ত আরসিসি সড়ক। (৫) পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য আধুনিকমানের ডাম্পিং ষ্টেশন। (৬) টেনিং সেন্টার,  (৭) চকরিয়া পৌরসভার শতবছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহি  ঘনশ্যাম বাজার সংস্কার ও কিসেন মার্কেট নির্মাণ,  (৮) চকরিয়া পৌরসভার ৬/৭ নং ওয়ার্ডের মগবাজার থেকে মাছঘাট পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ, (৯) চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বায়তুশ শরফ সড়কে আরসিসি সড়ক নির্মাণ, (১০) চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আধুনিকমানের আরসিসি মাস্টার ড্রেন নির্মাণ চারটি ( তৎমধ্যে ২নং ওয়ার্ডে একটি,   ৩নং ওয়ার্ডে একটি,  ৫নং ওয়ার্ডে একটি, ৬ নং ওয়ার্ডে একটি। (১১) চকরিয়া পৌরসভার ৫/৬ নং ওয়ার্ডের মগবাজার এলাকার মগখালে মাতামুহুরি নদী পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ। (১২) চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অত্যাধুনিক লাইটিং এর জন্য বৈদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ। (১৩) চকরিয়া পৌরশহরের যানজট নিরশনে চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনালকে আধুনিককরন প্রকল্প। (১৪) চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে ওমর আলি ঠিকাদার বাড়ি থেকে  আল ছালাম কমিউনিটি ক্লাব পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ। (১৫) চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে কালী মন্দির সড়ক ও হাজী পাড়া সড়ক আরসিসি নির্মাণ কাজ। (১৬) চকরিয়া পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে অসমাপ্ত সড়কগুলোর উন্নয়নকাজ আরও আধুনিকায়নে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করণ।

মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়া পৌরসভার আপামর জনগণের দোয়া ও পৌরসভার  ৯টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সার্বিক সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় চকরিয়া পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে ৬২০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবরাদ্দ দিয়েছেন।

তিনি জাইকার প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে পৌরবাসি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন পৌরবাসি সকলের দোয়ায় আগামীতে চকরিয়া পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে চাই। আশাকরি সকলে আমাদের পাশে থাকবেন। #

পাঠকের মতামত: